২১ মে ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের স্টিকার লাগানো গাড়িতে মিলল ৭ লাখ পিস ইয়াবা মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চাওয়ায় দুই পুলিশকে পেটালেন যুবক আগৈলঝাড়ার বাকাল ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত পর্যটকদের নিরাপদ আবাসন নিশ্চিতে টুরিস্ট পুলিশ সুপারের হোটেল ফার্স অ্যান্ড রিসোর্ট পরিদর্শন বিএনপি নেতার গেটে সাইনবোর্ড ‘ভোট চাহিয়া লজ্জা দেবেন না প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, পুলিশ সদস্য আটক ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে: প্রধানমন্ত্রী ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, প্রেসিডেন্ট রাইসির লাশ উদ্ধার বানারীপাড়ায় শিক্ষাই শক্তি সংগঠনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সুন্দরগঞ্জে ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ভাটা বন্ধের নির্দেশ
টাঙ্গাইল মির্জাপুরে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রিতে বাধ্য হয়েছে পুজারীরা

টাঙ্গাইল মির্জাপুরে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রিতে বাধ্য হয়েছে পুজারীরা

আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি অনুদানের চাল সিন্ডকেটের কবলে পড়ে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয় খাদ্য গুদামকে ঘিরে গড়ে উঠা সিন্ডিকেট এই ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, পূজা উযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগ এই চক্রের সাথে জড়ীত থাকার অভিযোগও রয়েছে।সিন্ডিকেট তৈরি করায় সুবিধাভোগীরা কম মূল্যেই চাল বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। এ নিয়ে পূজারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, মির্জাপুর পৌরসভা ও উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে এ বছর ২৩৬টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা মন্ডপগুলোর বিপরীতে সরকারিভাবে প্রতি মন্ডপে ৫০০ কেজি করে ১১৮ মেট্রেক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। অধিকাংশরাই এই চাল উত্তোলন না করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে কালোবাজারিরা।তারা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও খাদ্য নিয়ন্ত্রকের যোগসাজশে সিন্ডিকেট তৈরি করে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি কেজি চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা করে। সে অনুযায়ী প্রতিটি পূজা মন্ডপের কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের কাছে ৫০০ কেজি চালের বিপরীতে ৫ হাজার টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্ত চালের বর্তমান বাজার কেজি প্রতি ২৮ থেকে ২৯ টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাশ্ববর্তী টাঙ্গাইল সদর ও দেলদুয়ার উপজেলায় প্রতি কেজি চাল ১৮ থেকে ২০ টাকা দেয়া হয়েছে।হিসেব মতে, মির্জাপুর উপজেলায় কেজি প্রতি ১০ টাকা করে চালের দাম কম দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে ১১৮ টন চাল থেকে ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা সিন্ডিকেট সদস্যদের পকেটে গেছে।এছাড়া চালের দাম আশেপাশের উপজেলার মত না দেয়া হলেও বাজার অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা চাল পাইকারি দরে ২২ থেকে ২৩ টাকায় বিক্রি করেছেন। এ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বাড়তি আরও ৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা লাভ করেছেন। এতে ওই সিন্ডিকেটের সস্যদের মোট লাভ দাড়ায় ১৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
জানতে চাইলে সন্ডিকিটের এক সদস্য বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছিলাম চালের দাম ১০ টাকা কেজি দিব। ইচ্ছে হলে আপনারা চাল দিতে পারেন, না হলে নিয়ে যেতে পারেন। পরে তারা আমাদের কাছে চাল বিক্রি করেছে। আমরা ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করতে কাউকে বাধ্য করিনি।’
লতিফপর ইউনয়িনরে সুবিধাভোগী চিত্তরঞ্জন সূত্রধররে বাড়ির পূজা মন্ডপের সহসভাপতি স্বপন সূত্রধর জানান, তার ৫০০ কেজি চালের বিপরীতে ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। অনেক কাকুতি মিনতি করেও কোন লাভ হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি জানান, চালের দামের বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা পূজা উযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করেছিলাম। তারা খাদ্য গুদামে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে তারা কোন আশার বাণী শুনাননি। বরং ৫ হাজার টাকা করে নিতে বলেছেন। বিষয়টি রহস্যজনক বলে তারা মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রদীপ কুমার গুন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। টাঙ্গাইল জেলার অন্য স্থানে যেখানে ৫০০ কেজি চালের দাম ৯ থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে সেখানে মির্জাপুর মাত্র ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক বলেন, বিষয়টি নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019